রোগ পরিচিতি
কবুতরের রক্ত আমাশয়
Coccidiosis coccidian সংক্রমণ দ্বারা সৃষ্ট রোগ কবুতরের একটি মারাত্মক ও ছোঁয়াচে রোগ । এক ধরনের এককোষী প্রাণী দ্বারা সৃষ্ট পরজীবীয় রোগ যা প্রাণীর আন্ত্রিকে বিস্তার লাভ করে। এই রোগের জীবাণূ একটা আবরণে ঢাকা থাকে। ঐ অবস্থাকে বলা হয় UCHIT, মলের সংগে এটি মাটিতে পড়ে । মাটিতে তাপ আর জলীয় আবহাওয়ায় চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পেকে ঊঠে। খাবার ও জলের মাধ্যমে এই জীবাণূ পাটে যায়। ফলে ভাল কবুতরও সংক্রমিত হয়। সাধারণত বর্ষাই এই রোগ বেশী হয়। এটি রোগ সংক্রামিত হয় টিস্যু যা খাবাররের মাধমে এক প্রাণী থেকে অন্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক পর্যায়ে ডায়রিয়া,হালকা সবুজ এবং গুরুতর ক্ষেত্রে রক্ত যেতে পারে।. Coccidia আক্রান্ত অধিকাংশ প্রাণী অনেক সময় কোন লক্ষণ দেখা যায় না। যাইহোক, তরুণ বা ইমিউন-সংকটাপন্ন প্রাণীর মৃত্যু সহ গুরুতর শারীরিক সমস্যাই ভুগতে পারে। stress, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং পানি অথবা অপরিস্কার খামারই এর প্রধান কারণ। 2 সপ্তাহ থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত এই রোগ বেশি হয়,তবে বয়স্ক কবুতরের ও হতে পারে। এই সময় অন্ত্র ফুলে গিয়ে রক্তে ভরে যায়। আর তাই পায়খানার সাথে রক্ত পড়ে। সাধারণত এই রোগে সঠিক সময় চিকিৎসা না দিলে পাখী মারা যায়। রোগে মৃত্যুর হার ৯০% ভাগ।
কবুতরের Coccidiosisঃ
Coccidiosis প্রজনন কারণে খাওয়ানোর দ্বারা দূষিত Aviary বা খাঁচা মেঝে, সাম্প্রদায়িক জল সরবরাহ বা এক কবুতর থেকে অন্য কবুতরে পায়খানার মাধমে ছড়ায় ।
উপসর্গ/লক্ষণ :
• খাবারের সম্পূরক সহায়তায়র পরও অত্যধিক ওজন হ্রাস।
• Diarrhoea অথবা অধিক উজ্জ্বল সবুজ বা রঙ হলুদ, যা ফোঁটা ফোঁটা করে. (Watery)
রক্ত সহ বা ছাড়া
• Diarrhoea
• পালক ও শারীরিক অবস্থা নোংরা হতে পারে।
• পাখা ঝুলে যাওয়া ।
• ক্ষুধামান্দ্য
• এক জায়গায় ঝিমানো।
• শারীরিক ভারসাম্যহীনতা ও দাঁড়াতে অক্ষম।
• Dehydration।
• দ্রুত মৃত্যু।
ট্রান্সমিশন বা সংক্রমণ:
coccidia এর সংক্রামক পর্যায়ে মুল কিছু কারণ থাকে যেমন দূষিত পানির উৎস, অন্যান্য প্রাণী, কীটপতঙ্গ এবং মানুষের সংস্পর্শ , অপরিষ্কার পাত্র ও সরঞ্জাম মাধ্যমে ইত্যাদি। অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্ক পাখির প্যারাসাইট থেকে অসুস্থটা বিকশিত হয়। বয়স্ক কবুতর যারা আগেও আক্রান্ত হয়েছিলো তারা পুনরায় আক্রান্ত হতে পারে কোনো ক্লিনিকাল লক্ষণ ছাড়াই । এসব ক্ষেত্রে নতুন/YOUNG কবুতর এদের কারণে সংক্রামিত হতে পারে। আক্রান্ত কবুতর বা পাখি কে অবশ্যই আলাদা করে ফেলতে হবে।
প্রতিরোধ:
• Aviary বা খাঁচার ঘন ঘন পরিস্কার।
• নিশ্চিত না হাওয়া পর্যন্ত নতুন বা YOUNG কবুতরের সঙ্গরোধ।
• নিয়মিত মল coccidia জন্য পরীক্ষা করতে হবে
• বায়ুচলাচল নিশ্চিত করতে হবে।
• আর্দ্রতা রাখতে হবে।
• বিশুদ্ধ খাবার ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
• ইঁদুর বা এই ধরণের প্রাণী নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
• তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
• কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বিশেষ করে মাছি।
• ঠাসাঠাসি করে কবুতর রাখা যাবেনা ।
• খাঁচা বা কবুতর সরানো বা নাড়াচাড়ার আগে খাঁচার উপর আবরণ দিতে হবে।
• জীবাণু বিরোধী স্প্রে করতে হবে।
ঔষধ:
১) Doxivet (Doxicyciline)+ AMODIS (Human) ১ গ্রাম + ½ Amodis+১ গ্রাম স্যালাইন ৩০ মীলীঃ/ সি সি পানিতে মীক্স করে ১০ সি সি করে হাতে ধরে খাওয়াতে হবে দিনে ৩ বার।
২) হোমিও Acid Fos 200 ২ ফোটা করে ৫/৭ বার দিনে অল্প একটু পানির সাথে খাওয়াতে হবে।
৩) PAICHISH(হামদারদ) ১/২ ট্যাবলেট করে দিনে ২ বার। এটা সহায়ক হিসাবে দিতে হবে।
৪) নিয়মিত তরল খাবার যেমন আটা গুলা,সাবু বার্লি বা চালের স্যালাইনে দিতে হবে। শক্ত খাবার না দিয়াই ভাল কারন বমি হতে পারে। (খাবার ধরে খাওয়াতে হবে।)
৫) হালকা গরম পানি সরবরাহ করতে হবে।
সব সময় খেয়াল রাখতে হবে, যে কবুতর যে পড়ে থাকা খাবার না খাই, আর এটা তখনি নিশ্চিত করা সম্ভব যখন আপনি আপনার খামার পরিস্কার রাখবেন। খেয়াল রাখতে হবে যেন আক্রান্ত কবুতর প্রয়োজনীয় আদ্রতা পায়,কারন লিভারের ১২০ ফা বা ৪৯ সেলঃ এই রোগের জীবাণু মারা যায়(তাই বলে আবার গরম কিছু খাওয়ানো ঠিক হবে না)। প্রতিরোধ থেকে প্রতিকার ভাল, তাই আমাদের আগে প্রতিরোধের বাবস্থা নিতে হবে আগে।
মূল লেখক : সোহেল রাবি ভাই