কবুতরের অন্ত্রবৃদ্ধি (Pigeon Hernia) রোগ এবং প্রতিকার
“যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে, অতঃপর যা উত্তম, তার অনুসরণ করে। তাদেরকেই আল্লাহ সৎপথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই বুদ্ধিমান।“(সূরা আল যুমারঃআয়াত-১৮)
সুমন ভাই একজন বড় খামারি, তিনি ২৫ বছর ধরে কবুতর পালন করেন তার নিজের বাসাতেই। সামাজিক সাইট গুলোতে তার তেমন আনাগুনা নাই। তাই আজকাল অন্য খামারিদের মত তার হাক ডাকও নাই। তিনি কবুতর শখে পালেন, আর যেহেতু তিনি সব সময় ব্যাবসা ও চাকরি ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। তাই তার এই শখের প্রাণীটির ব্যাপারে একটু কম সময় ব্যয় করতে পারেন, আর এজন্য দুঃখজনক হলেও সত্যি যে তিনি কবুতরের রোগ বালাই সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না। তাই কেউ যখন তাকে কোন চিকিৎসা ব্যাবস্থা বলেন বা কোন ভেটেনারি ডাক্তারের শরানাপন্ন হন তখন তিনি সেক্ষেত্রে তার সাধারন জ্ঞান প্রয়োগ করার প্রয়োজন মনে করেন না এমনকি কেউ তাকে ৫টি অ্যান্টিবায়টিক একসাথে প্রয়োগ করতে বললেও তা করতে তিনি দ্বিধাবোধ করেন না। ফলে তার খামারে নানা সমস্যা সব সময়ই লেগেই থাকে। তার সাথে আমার ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক অনেকদিনের, যেহেতু কবুতর সেক্টরে তিনি একজন সিনিয়র কবুতর পালক তাই সচারচর তিনি এব্যাপারে একটু নিরব থাকেন। একবার তিনি ভাগ্য ক্রমে আমাকে ফোন দিলেন। তার সমস্যা হল তার ভাষ্য মতে যে কবুতরের ডিম আঁটকে গেছে।
আমি তাকে জিজ্ঞাস করলাম, আপনি কিভাবে বুঝলেন?
তিনি বললেন যে পিছনটা ফুলে আছে , লেজ নামান, পাখা হালকা ঝুলে পড়েছে আর জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে খাওয়া দাওয়া করছে না আসতে আসতে হাঁটাচলা করে এমন কি পানিও খাচ্ছে না। খালি ঝিমাচ্ছে আর মাঝে মাঝে কোঁথ দিতেছে। স্বাভাবিক ভাবেই তার ধারনা টা ঠিক ডিম পাড়ার বা আঁটকে গেলে এমনি লক্ষন থাকে ও থাকার কথা।
আমি তাকে বললাম যে একটু ভাল করে দেখেন যে, Cloaca এর নিছে ফুলা আছে নাকি?
তিনি না দেখেই জানিয়ে দিলেন না শুধু Cloaca(পায়ু) টা ফুলা আর শক্ত।
প্রবাদ আছে ”Some people live lifitime in a minute.” কিন্তু সেই মিনিট সময় ব্যয় করতে আমরা প্রস্তুত না, হোক না পরে যা হবার তাই। তারা জানেন না ১ মিনিটে কি হতে পারে আর এক মিনিটে কি হয়। তারা এই নীতিতে বিশ্বাসী যে,”Tomorrow is Tomorrow.” তাই হয়ত অনেক সময় এই ক্ষেত্রে আগামীকাল তাদের জন্য অনেক বেদনাদায়ক হয়ে যায়। যায়হোক যেহেতু আমি তার চোখে দেখতেছি, ফলে তিনি আমাকে যে তথ্য দিচ্ছেন সেই অনুযায়ী আমাকে ঔষধ বলতে হবে। আমি তাকে সেই অনুযায়ী কিছু আনুসাঙ্গিক ব্যাবস্থা সহ ঔষধ বলে দিলাম। দুইদিন পর তাকে ফোন দিলাম তিনি খুব বিরক্ত সহকারে জানালেন যে কবুতরটা মারা গেছে। যদিও বিরক্ত টা কার উপর সেটা জানতে পারলাম না। সেযাই হোক, আমাদের কবুতর খামারি দের মধ্যে ডিম ও বাচ্চা নিবার ব্যাপারে যতটুকু আগ্রহ ও সময় ব্যয় করে থাকেন তার অর্ধেক সময় যদি তাদের আচার ব্যাবহার ও রোগের লক্ষনাদি পর্যবেক্ষনে ব্যয় করতেন তাহলে অনেক সমস্যা কমে যেত আর অনেক অনাখঙ্কিত ঘটনা থেকে নিরাপদ থাকতে পারতেন।
কবুতরের অন্ত্রবৃদ্ধি একটি মারাত্মক ধরনের রোগ। শরীরের (পেটের) ভিতরকার কতকটা নাড়ি বা অন্ত্র কুঁচকিতে বা নাভিকূপে প্রবেশ করাকে অন্ত্রবৃদ্ধি (Pigeon Hernia) বলে। সাধারণত ৪-২০ দিনের বাচ্চা ও পূর্ণবয়স্ক মাদী কবুতরের মধ্যে এই রোগ বেশী দেখা যায়। বাচ্চা কবুতরের মধ্যেও এই রোগ সাধারণত পিতামাতার চাপে হতে পারে। অনেকেই কবুতরের অন্ত্রবৃদ্ধি (Pigeon Hernia) কে কবুতরের হায়ড্রসিল বলে ভুল করে। কিন্তুই Pigeon Hernia ও Hydrocele এক রোগ না। এই রোগে যদি প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা না নিয়া হয় তাহলে, ৩-৪ দিনের মধ্যে নাড়ি বা অন্ত্র পচে কবুতরের মৃত্যু হয়। আই ধরনের রোগ ২ ধরনের হয়। প্রথমত নাড়ি বা অন্ত্র Cloaca(পায়ু) এর ভিতরে থাকে ও অনেকটা ফুলা দেখায়। আর দ্বিতীয়টা পায়খানা করার সময় কোঁথ দিলে লাল মত অন্ত্র বা নাড়ি বের হয়ে আসে। অনেক সময় আপনা আপনি সেটা ভিতরে প্রবেশ করে আবার মাঝে মাঝে হাত দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দিতে হয়। আর উভয় ক্ষেত্রেই ডিম বাচ্চার আশা অনেকদিন ত্যাগ করতে হয়। প্রথমটা প্রাণঘাতী হয় খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই আর দ্বিতীয়টা বেশ কিছুদিন সময় পাওয়া যায় চিকিৎসা করার।
কারনঃ
১) আঘাত লাগা বা চাপ লাগা।
২) জোরে হাঁচি বা কাশি দিলে।
৩) বেশী পরিশ্রম বা ভ্রমন (যেমন বেশী বাচ্চা ফিডিং করান।)
৪) ঘন ঘন ডিম বাচ্চা নেয়া।
৫) পায়খানা বেশী শক্ত হলে বা পায়খানার সময় জোরে প্রেশার (কোঁথ) দিলে। যদিও অনেক খামারি মনে করেন শক্ত পায়খানা কবুতরের সুস্থতার লক্ষণ আমি তাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করি।
৬) বার বার ডিম আটকালে আর সেটা চাপ দিয়ে বের করলে বা বের করার চেষ্টা করলে।
৭) পেটের পেশিতে টান বা চাপ পড়লে।
৮) সুষম খাদ্যের অভাব, প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল এর অভাব। যদিও অনেকেই মনে করেন বাচ্চা হলে ভিটামিন ও মিনারেলস দিতে হয় না। আসলে তারা জানেন না বলেই একথা বলে থাকেন। কবুতরের বাচ্চা হলে ভিটামিন ও মিনারেলস এর বেশী দরকার। আর এ সব লোকদের জেনে রাখা দরকার কবুতর তাদের ১০ দিনের ছোট্ট বাচ্চাদের সরাসরি খাবার দেয় না কর্প মিল্ক খাওয়ায়।
৯) অত্যাধিক/মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়টিকের প্রয়োগের ফলে কবুতরের ভেন্ট শুকিয়ে গিয়ে এরূপ বিপত্তি দেখা দিতে পারে।
১০) অনেক সময় অপ্রাপ্ত বয়স্ক কবুতরকে ডিম পারানর জন্য অনেক খামারি ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে পড়েন। ফলে এ সময় ডিম পারে গিয়ে ভেন্ট নালি ফেটে গিয়ে রক্ত বের হয়, যা অনেক সময় ডিমের গায়ে লেগে থাকে। এ সব ক্ষেত্রে ভেন্ট সংক্রমিত হয়ে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
১১) অনেকে খামারি ভেন্ট এর ভিতরে আঙ্গুল ঢুকিয়ে ডিম আছে কিনা পরীক্ষা করেন বা আঙ্গুল দিয়ে ডিম বের করার চেষ্টা করে। সেক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
১২) অনেক সময় ক্যালসিয়াম এর প্রচণ্ড ঘাটতি হলে চাম ডিম দেয়, আর এই চাম ডিম দিতে গিয়ে অনেক সময় ভেন্ট বা Cloaca মধ্যে ডিম টা ফেটে গিয়ে এই ধরনের বিপত্তি দেখা দিতে পারে।
১৩) গাদাগাদি করে এক জায়গায় বেশী কবুতর রাখা।
১৪) অনেক সময় কবুতর কে বেশী বিরক্ত করলে লাফালাফি করে আই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
১৫) বিশেষ কিছু রোগের সংক্রমন যেমন-জরায়ু টিউমার ও সংক্রমন ইত্যাদি।
লক্ষন বা উপসর্গঃ
• উদর/পেট জোরে জোরে টানাটানি/উঠানামা করা।
• দ্রুত বা জড়তাপূর্ণ শ্বাস বা শ্বাস সমস্যা।
• পিছনে ভেন্ট বা Cloaca এর নিচের দিকে ফোলা ভাব।
• কোষ্ঠকাঠিন্য ভাব বা পায়খানা কম করা বা অনেক সময় সাদা পানি পায়খানা করা।
• পাখা হালকা ঝুলে পড়া ।
• উস্ক খুসকো পালক ।
• ধিরে ধিরে হাটা চলা বা পা টেনে চলা ।
• পায়খানা করতে গিয়ে ভেন্ট বা Cloaca এর লাল অংশ বের হয়ে যাওয়া ।
• নৈমিত্তিক আকস্মিক মৃত্যু।
• পুচ্ছ/লেজ নিচে নামিয়ে রাখা।
• ডিপ্রেশন।
• একটানা দাড়িয়ে থাকা, বসতে গিয়ে আবার দাড়িয়ে যাওয়া বা একটানা বসে থাকা।
• পা অবস বা পক্ষাঘাত। (যদিও অন্য কারনেও পা অবস বা পক্ষাঘাত হতে পারে।)
• পিছনে ভেন্ট বা Cloaca এর নিচে হালকা চাপ দিলে ব্যাথায় ছটফট করা। (যদিও বেশী জোরে চাপ দিলে মৃত্যু ঘটতে পারে তাই এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।)
• গায়ের তাপ অতিরিক্ত ( যদিও অনেক খামারি এই তাপ দেখে প্যারাসিটামল খাওয়ানোর চেষ্টা করেন, যা খুব মারাত্মক হতে পারে।)
• বমি, হেচকি বা পেট ফুলে থাকা ইত্যাদি।
প্রতিরোধঃ
ক) ডিমের আটকানো (Egg binding ) প্রতিরোধ করতে হবে। এ জন্য ঘন ঘন ডিম বাচ্চা নিয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
খ) উচ্চ ক্যালোরি, উচ্চ ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার ও ভিটামিন/মিনারেলস প্রদান করতে হবে। (ধান জাতীয় খাদ্য পরিহার করা। বা যারা কবুতর কে ভাত দেন তারা এ থেকে বিরত থাকবেন বিশেষ করে ঝোল মাখান ভাত। এটি সাধারন অবস্থায়ও কবুতরের জন্য ক্ষতিকর।)
গ) পরিস্কার পরিছন্ন খামার ব্যাবস্থাপনা করতে হবে।
ঘ) নিয়মিত গোসলের ব্যাবস্থা করতে হবে।
ঙ) যেগুলো কারণ এ সবের জন্য সেগুলো পরিহার করতে হবে।
চ) অল্প বয়সে ডিম বাচ্চা না করা।
ছ) খাঁচার অভ্যন্তর কাঠ বা চট ধরনের কিছু রাখতে হবে বা খাঁচা অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে বা একটু বড় ধরনের খাঁচা ব্যাবহার করতে হবে।
জ) ব্রিডিং জোড়া কে নিয়মিত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দিতে হবে ও বেশী অ্যান্টিবায়টিক প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে। তার মানে রোগ আক্রান্ত হলেও যে দিবেন না তা নয়।
ঝ) ভেন্টিলেসন ব্যাবস্থা ঠিক রাখতে হবে যাতে প্রয়োজনীয় আল বাতাস চলাচলের সুযোগ থাকে।
চিকিৎসা ব্যাবস্থা বা প্রতিকারঃ
১) প্রাথমিক অবস্থায় কবুতর কে উল্টা করে দুই পায়ের ফাকে দুইটা আঙ্গুল দিয়ে পা দুইটা উপরের দিকে হালকা করে টানতে হবে। ঠিক বাচ্চাদের ব্যায়াম করার মত করে, খেয়াল রাখতে হবে যেন এটাতে জোড় প্রয়োগ করা না হয়। আর একা একা না করা হয়।
২) চিনি বা তাল মিশ্রী অথবা গ্লুকোজ পানিতে মিক্স করে যদি নিজে থেকে খায় তো ভাল, না হলে ধরে খাওয়ানোর ব্যাবস্থা করতে হবে। (খেয়াল রাখবেন আবেগের অতিসহ্যে যেন আবার কেউ মধু ব্যাবহার না করেন, কারণ এতে হিতে বিপরীত ফল হতে পারে।)
৩) গরম পানি বা কাপড় গরম করে সেঁক দিলে ভাল উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু এগুলো সব প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে করা যেতে পারে, এতে রোগ নির্মূল হবে না তবে রোগের উপশমে ভাল সাহায্য করবে।
৪) হোমিও কাল্কে ফ্লোর ১২ক্স ১-২ আ ট্যাবলেট ২-৩ মিলি কুসুম গরম পানিতে মিক্স করে ধরে খাওয়াতে হবে দিনে ৩-৪ বার। যদি খাওয়া দাওয়া না করে তাহলে রাইস স্যালাইন কুসুম অবস্থায় খাওয়াতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন যেন পাকস্থলী পূর্ণ করে না খাওয়ান হয়। এতে পিছনে ভেন্ট বা Cloaca এর উপর চাপ বেড়ে যাবে ফলে কবুতর ব্যাথায় ছটফট করতে পারে বা এমনকি প্রানহানিও হতে পারে। এই ঔষধ প্রয়োগের আগে নাক্স ভুম ৩০, দশ মিনিট পর পর ১ ফোঁটা করে ৭-৮ বার খাওয়াতে পারেন ফলে অন্য কোন ঔষধ বা তার প্রভাব থাকলে কেটে যাবে ও এই রোগের অনেক উপশম হবে। কারণ এই রোগের আরেকটি অন্যতম ঔষধ এটি।
৫) যারা হোমিও দিতে না চান তারা Enflox-Vet Solution ৩-৪ ফোঁটা+ গ্লুকোজ/ স্যালাইন ১-২ গ্রাম= ৩-৪ মিলি কুসুম গরম পানিতে মিক্স করে দিনে ৩-৪ বার করে ৫-৬ দিন খাওয়াতে পারেন। অথবা Orasin K সিরাপ তৈরি করে। ১ মিলি Orasin K+ ১ গ্রাম স্যালাইন= ৩-৪ মিলি পানিতে মিক্স করে দিনে ৩ বার ৪-৫ দিন ধরে খাওয়াতে হবে। ( তবে এ ক্ষেত্রে Enflox-Vet Solution ব্যাবহার করার চেষ্টা করবেন, এই রোগে এর কার্যকারীতে অনেক বেশী।)
৬) যেক্ষেত্রে ভেন্ট বা Cloaca থেকে লাল অংশ বের হয়ে যায় সেক্ষেত্রে হোমিও Calendula Mother একটু তুলাতে নিয়ে পেছনের ভেন্ট বা Cloaca ভাল করে মুছে দিবার ব্যাবস্থা করতে হবে দিনে ২-৩ বার কমপক্ষে। এক্ষেত্রে হেক্সিসল, পভিসেফ ইত্যাদি ব্যাবহার করতে পারেন।
৭) যদি ১ সপ্তাহের মধ্যে উপরোক্ত ঔষধে কাজ না হয় তাহলে Bipen-Vet® 40 Injection তৈরি করে। ১-২ মিলি করে দিনে ১ বার, ৩-৪ দিন বুকের মোটা গোশত এর মধ্যে পুশ করতে হবে। এক্ষেত্রে ইনসুলিন এর সিরিঞ্জ ব্যাহহার করা যাবে না কারণ এটা একটু ঘন ধরনের উপাদান। তাই এটি ৫ মিলির সিরিঞ্জ ব্যাবহার করতে হবে। আর পুশ করার পর জায়গাটা ভাল করে ম্যাসেজ করে দিতে হবে নাহলে ঔষধটি ওখানে জমে থাকার সম্ভাবনা থেকে যেতে পারে। আরেকটি ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে ইঞ্জেক্সন তৈরি করার পর পরই ব্যাবহার করতে হবে নাহলে জমাট বেঁধে যাবে। একটা ভায়াল একদিনই ব্যাবহার করা যাবে।
এই পোস্ট টি দেখে হয়ত অনেকেই ভ্রু কুচকাবেন! মনে মনে হয়ত বলেও ফেলতে পারেন এই লোকটার মনে হয় একটু বেশী বুঝে ?
আমি যখন ডিপথেরিয়া নিয়ে পোস্ট দিলাম তখনও এ রকম অনেক কথা শুনেছিলাম অনেক খামারি থেকে তবে অবশ্যই সরাসরি না। যে কবুতরের নাকি ডিপথেরিয়া রোগ হয়না ইত্যাদি ইত্যাদি।
অনেকেই আবার বলেন কবুতরের নাকি কোন রোগ নাই। সে যাই হোক যার যার চিন্তা ধারা তার তার কাছে। “বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।” অন্যেরা কি বলল তাতে কিছু আসে যায় না, আপনি কি ভাবেন সেটাই মুখ্য বিষয়। যারা এই রোগের অভিজ্ঞতা হয়েছে তারা হয়ত জানেন আর যারা জানেন না তারা আজকে ভাল করে জেনে নিন, কে জানে হয়ত অদূর ভবিষ্যতে আপনার কবুতরকেও এই রোগের সম্মুখীন হতে হয়।
পরিশেষে’ কবি আব্দুল কাদের লিখিত ‘মানুষের সেবা’ নামের কবিতা থেকে কিছু পংতি তুলে ধরতে ইচ্ছে হলঃ-
“হাশরের দিন বলিবেন খোদা- হে আদম সন্তান
তুমি মোরে সেবা কর নাই যবে ছিনু রোগে অজ্ঞান।
মানুষ বলিবে – তুমি প্রভু করতার,
আমরা কেমনে লইব তোমার পরিচর্যার ভার?
বলিবেন খোদা- দেখনি মানুষ কেঁদেছে রোগের ঘোরে,
তারি শুশ্রুষা করিলে তুমি যে সেথায় পাইতে মোরে।“
লেখক : সোহেল রাবি ভাই