কবুতরের পক্স রোগ প্রতিরোধের উপায়

কবুতরের পক্স রোগের জন্য কবুতর সেক্টরে যে পরিমান ক্ষতি হয় তা অন্য রোগের ক্ষেত্রে হয় না। এটি একটি মশা বাহিত ভাইরাল রোগ এবং শীতে প্রকোপ বেশী হলেও প্রায় সব মৌসুমে কম বেশী দেখা যায়। যদিও এটি ভাইরাল রোগ, তাঁর পরও অনেকেই নানা প্রকার আন্টিবায়টিক ব্যবহারের পরামর্শ দেন। আবার অনেকেই হাঁসমুরগির জন্য তৈরিকৃত টীকা দিতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যদিও অভিজ্ঞগণ ভাল করেই জানেন এই টীকায় কি পরিমান কাজ বা ক্ষতি হয়। অনেকেই আছেন অনেক বেদনাদায়ক চিকিৎসার শরণাপন্ন হয়ে থাকেন, আবার অনেকেই নানা প্রকার টোটকা ব্যবহার করে থাকেন। কেউ দোয়া, তাবিজ, আবার কেউ সোনা রুপার পানি ইত্যাদিও ব্যবহার করেন। অনেকের ধারনা কবুতর পক্স ও মানুষের চিকেন পক্স একই আবার কেউ কেউ সব ধরনের পক্সকে একই কাতারে ফেলে থাকেন, অথচ এগুলো এক নয়। কবুতরের পক্স এর প্রতিরোধ বা প্রতিকারের তেমন ভাল বা কার্যকারী ব্যবস্থা না থাকলেও কিছু ব্যবস্থা আছে যেগুলো থেকে ভাল প্রতিরোধ করা যেতে পারে। পক্স ও এর শ্রেণী নিয়ে পোস্ট দেয়া হয়েছে সেগুলো পড়লে এসব ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেনঃ

প্রতিরোধঃ

১) অডমস ক্রিম লোম বিহীন জায়গা, ঠোঁট ও চোখের পাশে, পায়খানার রাস্তার চারপাশে লাগিয়ে দিলে ১২ ঘণ্টা নিরাপদ থাকবে। এছাড়াও বাইরের কিছু অরগানিক স্প্রে পাওয়া যায় যা ভাল ফল দেয়।

২) রসুন বাটা পানির সাথে মিক্স করে স্প্রে করলে ৬ ঘণ্টা নিরাপদ থাকবে মশা থেকে।

৩) নিপমাতা বাটা পানির সাথে মিক্স করে স্প্রে করলে ৬ ঘণ্টা নিরাপদ থাকবে মশা থেকে।

৪) এছাড়াও এখন অনেক সস্তায় নানা ধরনের ল্যাম্প পাওয়া যায় সেগুলো ভাল।

৫) মশা সাধারনত নোংরা ও কার্বন ডাই অক্সাইড পূর্ণ জায়গায় থাকতে পছন্দ করে। তাই কবুতরের লফট পরিস্কার ও আলো বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬) লফটে নীম গাছ তুঁলসি গাছ রাখলে বা লেমন গ্রাস রাখলেও মশা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

৭) এ ছাড়াও পুরানো মশারী কেটে জানালা ও দরজাতে চার কোনে তারকাটা দিয়ে দড়ি বেঁধে মশার হাত থেকে নিরাপদ থাকা যায়।

প্রতিকারঃ

১) লরিক্স ক্রিম LORIX CREAM(Permethrin 5%) পক্স আক্রান্ত স্থানে রস বের করে লাগাতে হবে দিনে ২-৩ বার। তাঁর আগে হেক্সিসল বা অ্যাপেল সিডার দিয়ে ওয়াশ করে নিলে ভাল।

২) নীম পাতা বাটা + নারকেল তেল + কাচা হলুদ বাটা + কর্পূর + হাইপো মিক্স করে পেস্ট করে লাগালে ভাল ফল পাওয়া যায়।

সতর্কতাঃ

ক) পটাস বা পভিসেফ চোখ বা তাঁর আসে পাশে দিবেন না এতে চোখের ক্ষতি হতে পারে।

খ) ঠোটে হলে জলদি চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে না হলে ঠোঁট খুলে পড়ে যাবার সম্ভাবনা বেশী থাকে।

লেখকঃ সোহেল রাব্বি